Social Icons

ভাল অভ্যাসের টিপস এবং বিখ্যাতদের ছবি।

অভ্যাসগুলো না ছাড়লেই নয়?

দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন অনেক কিছুই করি, যা অনেক সময় বড় সমস্যার সৃষ্টি করে। সাধারণত মুঠোফোনে কথা বলা, কম্পিউটারে কাজ করা বা শিশুকে আদর করার ভঙ্গি থেকেই হতে পারে নানা সমস্যা। তাই যেকোনো কাজেই পালন করা উচিত একটু সতর্কতা। আসুন, আজ থেকেই অভ্যাসগুলো দূর করি।
গবেষকেরা বলছেন, মুঠোফোনে অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময় ধরে খুদে বার্তা পাঠানো বা ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে বুড়ো আঙুলের গোড়ায় আথ্রাইটিস হতে পারে। এ কারণে দিনের শেষে আপনি বুড়ো আঙুলে ব্যথা বা অবশ অনুভূতিতে আক্রান্ত হতে পারেন। ফোনে কথা বলার জন্য যতটা সম্ভব ব্যবহার করুন, বড় বড় বার্তা পাঠানো বা অনেকক্ষণ ধরে ব্রাউজ করা এড়িয়ে চলুন। এগুলোর জন্য আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করাই ভালো। 
শিশু কোলে নেওয়া
দুই হাত দিয়ে শিশুকে কোলে তোলা ও উঁচু করে ধরে রাখা থেকে ডিকুয়েরভ্যানস টেনোসাইনুভাইটিস নামের সমস্যা হয়। এ কারণে কবজি ও বুড়ো আঙুলের ওপর চাপ পড়ে। এতে ব্যথা, এমনকি ফুলে যেতে পারে। শিশু কোলে নেওয়ার সময় কেবল কবজির ওপর ভর দিয়ে নয়, পুরো হাতের বড় পেশিগুলো ব্যবহার করুন। শিশুর পিঠ ও পশ্চাদ্দেশসহ কোলে নিন এবং হাত দিয়ে উঁচু করে তুলে ধরে রাখবেন না বা লোফালুফি করবেন না।
শিশুকে ঘাড়ে নিয়ে ঘোরা
শিশুকে ঘাড়ের ওপর তুলে অনেকে ঘোরাঘুরি করেন। এতে ঘাড়, মেরুদণ্ডের পেশি ও হাড়ের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। যদি নিতেই হয়, প্রথমে একটি চেয়ার বা বিছানায় বসুন, শিশুকে বিছানা থেকে ঘাড় বেয়ে উঠতে বলুন এবং তারপর ধীরে ধীরে দাঁড়ান। কখনো মেঝে থেকে শিশুকে ঘাড়ে নেবেন না।
সোফায় শুয়ে টিভি দেখা

বাইরে থেকে এসে সোফায় বা গদিতে গা এলিয়ে দিয়ে মাথা বাঁকা করে টিভি দেখা আরেকটি খারাপ অভ্যাস। এতে ঘাড়ের পেছনে চাপ পড়ে এবং পরদিন ব্যথা হতে পারে। টিভি দেখার সময় চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন—কাত হয়ে শুয়ে নয়।
উপুড় হয়ে শোয়া
অনেকে উপুড় হয়ে সারা রাত ঘুমান। সকালে ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা হয়। কেননা উপুড় হয়ে শুলে এক হাত সাধারণত হাইপার এক্সটেন্ড হয়ে থাকে এবং ঘাড়ের ওপর চাপ পড়ে। চিত হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।


পিরিয়ডের ব্যথা থেকে বাঁচতে

পিরিয়ডের ব্যথা থেকে বাঁচতে


মাসের বিশেষ সময়ের কিছুদিন আগে ও ওই সময়ের শুরুর দিনগুলো পেট ও পিঠ ব্যথায় নাজেহাল হতে হয় অনেককেই। তাই জানা থাকা চাই নিস্তার পাওয়ার কিছু উপায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পিরিয়ডের কারণে হওয়া পেট ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হয়। তাই ব্যথা হলেই ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে এমন ঘরোয়া সমাধানগুলো অনুসরণ করা বেশি উপকারী। এতে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হওয়ারও ঝুঁকি থাকে না।
গরম ভাপ: পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা হলে ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’য়ে গরম পানি ভরে তলপেটে চেপে রাখা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানির তাপমাত্রা যেন সহনীয় হয়। গরম ভাপ দেওয়ার ফলে ব্যথা কিছুটা কমে আসবে। কারণ গরম ভাপ ইউট্রাসের পেশিগুলো শিথিল করে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
আদা: ব্যথা কমাতে আদা চা পান করা বেশ উপকারী। নিজের জন্য বেশি পরিমাণে আদা দিয়ে ক্যামোমাইল চা তৈরি করে পান করতে পারেন। আদা প্রোস্টাগ্লান্ডিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যামোমাইল ব্যথা উপশমে সহায়ক। ব্যথানাশক হিসেবে এই চা বেশ উপযোগী।
মৌরি: এই দানাদার মসলাতে রয়েছে ‘অ্যান্টিসপাসমডিক’ এবং ‘অ্যান্টিইনফ্লামাটরি’ উপাদান, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ব্যথা বাড়লেই অল্প করে মুখে দিয়ে চাবিয়ে নিতে পারেন অথবা পানিতে ফুটিয়ে অল্প করে চায়ের মতো পান করলেও উপকার পাওয়া যায়।
দারুচিনি: পিরিয়ডের সময় জমাট বাঁধা রক্তপাতের কারণে ব্যথা ও অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়। দারুচিনিতে রয়েছে আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। খানিকটা পানিতে আধা চা-চামচ দারুচিনি গুলে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে পান করতে হবে।
এড়িয়ে চলুন কফি: পিরিয়ড চলাকালে উষ্ণ পাণীয় পান করা উপকারী হলেও কফির ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম। শুধু কফি নয় ক্যাফেইন সমৃদ্ধ যে কোনো পানীয়ই এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ক্যাফেইন রক্ত চলাচলে ব্যঘাত ঘটায়। ফলে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
অর্গাজম: পিরিয়ড চলাকালে শারীরিক মিলন নিয়ে দ্বিধায় থাকেন বেশিরভাগ নারী। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে অর্গাজম পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে আনতে সহায়ক। কারণ এতে ভালোলাগার অনুভূতি তৈরি হবে এবং ইউট্রাসে রক্তচলাচলও বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যথা কমে আসবে
 
Blogger Templates